শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক কেন্দ্রে রাশিয়ার হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | আপডেট: শুক্রবার, মার্চ ৪, ২০২২

ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক কেন্দ্রে রাশিয়ার হামলা
ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে রাশিয়ান সৈন্যরা। শুক্রবার (৪ মার্চ) এ হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন পার্শ্ববর্তী এনাহোডার শহরের মেয়র ডিমিত্রো অরলভ।

ফেসবুকে  তিনি লেখেন, সারাবিশ্বের জন্য ভয়ংকর হুমকি!!!, বিভিন্ন ভবন ও ব্লকে একটানা গোলাবর্ষণের ফলাফল হিসেবে জাপরিজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন লেগেছে!!!

অরলভ আরও জানান, দমকলকর্মীরা আগুন নেভাতে যেতে পারেননি। তিনি নিশ্চিত করেননি ঠিক কী কারণে আগুন নেভানো যায়নি। এর আগে তিনি জাপরিজিয়া থেকে ১১২ কিলোমিটার দূরে এনাহোডারে রাশিয়ান হামলায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কথা জানান। এ সময় রুশরা বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রবেশের সব পথ আটকে দেয়।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুবেলা বলেন, রুশদের অবিলম্বে হামলা বন্ধ করতে হবে এবং দমকলকর্মীদের প্রবেশ করতে দিতে হবে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা গভীরভাবে এ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশনের পক্ষ থেকে এক টুইটে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় বিকিরণ স্বাভাবিক পর্যায়ে আছে।

যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো রুশদের অন্যতম নিশানায় পরিণত হয়েছে।

প্রায় দুই মাস ধরে ইউক্রেন সীমান্তে দুই লাখ সেনা জড়ো করে রাশিয়া। রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বারবার সতর্কতা দিয়েছিল। কিন্তু বরাবরই রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে পালাচ্ছে লাখো মানুষ। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনারা।

পরে যুদ্ধবিরতিতে আসতে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলারুশে প্রথমবার আলোচনায় বসে রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল। তবে আলোচনায় কোনো সমাধান আসেনি।
0 Comments